নানা আয়োজনে খাগড়াছড়িতে পালিত হচ্ছে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৪ বছর। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে শান্তি চুক্তির র্যালি বের করে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ।
শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে র্যালিটি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শান্তি চুক্তি অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী রেজা, খাগড়াছড়ি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল তৌফিকুল বারী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল ভুঁইয়া ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটু আই মেজর জাহিদ হাসান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের সংঘাতময় পরিস্থিতির নিরসন হয়েছে। সরকার চুক্তির অনেক ধারা বাস্তবায়ন করেছে। বাকি ধারাগুলোও বাস্তবায়ন করবে। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তিনি জনসংহতি সমিতির সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
অপর দিকে পার্বত্য চুক্তির মৌলিক ধারা ভূমি সমস্যা নিরসন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের পুনর্বাসনসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচনসহ মৌলিক ধারাসমূহ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি। সংগঠনের নেতারা দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।